1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বক্তব্যটি সুপার এডিট করা; ওয়াদুদ ভূঁইয়া - আলোকিত খাগড়াছড়ি

সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বক্তব্যটি সুপার এডিট করা; ওয়াদুদ ভূঁইয়া

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে
মো. আবদুর রউফ:
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি বিতর্কিত বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। বক্তব্যটি ছিল খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার সাথে দীঘিনালা উপজেলার কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর সাথে একটি আলোচনার কাটছাট অংশ। ফেসবুকে প্রকাশের পর ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার দেখা দেয়। ছড়িয়ে পড়া এ বিতর্কিত বক্তব্যটি সুপার এডিট করা বলে দাবী করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টায় নিজ বাস ভবন বৈঠকের হলরুমে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবী করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিওতেও তিনি এ দাবী করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বিগত সরকার পতনের পর সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। খাগড়াছড়ি জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক নেতাকর্মীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের প্রতি বিরক্ত হয়ে তিরষ্কারের সুরে তাদের যা খুশি করতে বলা হয়েছে। আমার এ বক্তব্যটি কাটছাট করে  প্রচার করা হয়েছে। এখনও আরও শর্ট শর্ট ভিডিও এডিট করে প্রচার করা হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগ এবং একটি বিশেষ মহল জড়িত রয়েছে বলে দাবী করেন ওয়াদুদ ভুইঁয়া।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় আমাকে জেলে নেওয়া হয়েছে এবং আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা পারেনি। তারা আমাকে জনগণের থেকে দূরে রাখতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের আদর্শে অবিচল ছিলাম বলে তারা এখানেও ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা একটা ভিডিওকে সুপার এডিট করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ভিডিওটিতে আলোচনার মূল অংশ কাটছাট করা হয়েছে। আলোচনাটি ছিল আমার নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা উশৃংখল তাদের শাসন এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে। সেখানে দলকে সুসংগঠিত করতে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তুকে কাটছাট করে সুপার এডিট করে প্রচার করেছে। যে অভিযোগটি প্রচার করা হয়েছে সেটি এখনো কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই অপপ্রচারকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে দীঘিনালা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। সে এখন জেলে আমি। আশাকরি অন্যান্য অপরাধীদেরও পুলিশ দ্রুত বের করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, দীঘিনালা উপজেলার নবগঠিত কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে মতবিনিময় করছেন। মতবিনিময়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি নেতাকর্মীদের দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাশেম ও জসিমের ব্যবসা দখল ও বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেন। তাদের সাথে বিএনপির কারও যোগসাজশ থাকলে তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন। ২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি প্রথম ‘দীঘিনালার জালিম’ নামে একটি ফেসবুক ফেক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। এরপর তা দ্রুত সারাদেশে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে ভিডিওটি জেলা আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেন্ট্রাল ফেসবুক পেইজ থেকেও পোস্ট করা হয়। এরপর সজিব ওয়াজেদ জয় এবং অন্য একজন ইউটিউবার দেশের বাহিরে থেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে ব্যাপক আলোচনা-সমোচনার জন্ম হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ